JSONify
New
Profile
Logout
Form
JSON
Verified:
Show:
Age
Date of Birth
Pick a date
Date
05/08/2024
Gender
Image URL
Sources
Drag to reorder
Delete
Clear Data
Fill the fields
Bengali
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
শহিদ আকাশ বেপারি ছিলেন একজন রিকশা যোদ্ধা। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালে হতাহতদের নিয়ে মরণ ভয় তুচ্ছ করে ছুটে যেতেন হাসপাতলে। গুলিতে মরে যাওয়ার ভয়কে জয় করে তাঁর মত এরকম অসংখ্য আকাশ বেপারি জুলাই আন্দোলনে আহত এবং নিহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। বিনিময়ে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নেননি কোন টাকা পয়সা। এমনকি তারা পুলিশ বা সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের কোন রক্ত চক্ষুকেও পরোয়া করেননি। আকাশ বেপারির রিকশার প্যাডেল এবং তাঁর স্ত্রীর বাড়ি বাড়ি কাজ করে আনা টাকা দিয়ে তাঁদের সংসারটি কোনরকমে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু দিন এনে দিন খাওয়া এ মানুষটির অনুপস্থিতিতে তাঁর পরিবার এখন ভয়াবহ সংকটে। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে তাঁদের নিরেট উপবাসে দিন কাটছিল। উপায়ান্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আকাশের স্ত্রী এখন ভিক্ষায় নেমেছেন। আকাশ বেপারির বয়স ছিল ৩৬ বছর। জন্ম নিবন্ধনে তাঁর নাম মো. আকাশ। কিন্তু তিনি আকাশ বেপারি নামেই পরিচিত। স্থায়ী ঠিকানা মাদারীপুরের হাবিঙ্গ ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী গ্রামে। যদিও এখন সেখানে কিছুই নেই। মো. আজিজ বেপারি ও মোসাঃ সামরতো বানের সন্তান তিনি। তাঁর অন্য কোন ভাই কিংবা বোন আছে কি না, তাও জানে না পরিবারটি। ভিটেমাটিহীন এ মানুষটিকে বিয়ে করেন কুমিল্লার মেয়ে লাকি আক্তার (৩৩)। তাঁদের কোল জুড়ে আসে দু’টি সন্তান। থাকতেন রাজধানীর তুরাগের বাদালদি এলাকায়। বড় মেয়ে শারমিন আক্তার (১৫) স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে শাহনাজ আক্তার (১২) অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। শোকে মুহ্যমান শহিদের স্ত্রীর মুখে কোন কথাই যোগাচ্ছিল না। তবু তিনি বাপ্পি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ছেলেটিকে আমার স্বামী খুবই আদর করতো এবং নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসতো। সারাদিন রিকশা চালিয়ে রাত্রে বাসায় এসে ওকে নিজ হাতে গোসল করিয়ে খাইয়ে দিতেন। আমাদেরকে বলতেন, তোমরা ওর কাজ করতে পারবা না। আমি খেয়ে থাকি, না খেয়ে থাকি ওকে দেখে রাখবো। যতদিন বেঁচে থাকি ভিক্ষা করে হলেও ওর পাশে আমি থাকবো।’ গত ৫ আগস্ট আকাশ বেপারি তাঁর রিকশা নিয়ে বের হন। এর আগে প্রতিদিনই তিনি আন্দোলনে সহায়কের ভূমিকায় ছিলেন। ফলে ভয়ে তাঁর বড় মেয়ে কোনভাবেই বাসা থেকে তাকে বের হতে দিতে চাচ্ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে বড় মেয়ে শারমিন বাসসকে বলেন, ‘আমি বাসায় ভেতর থেকে তালা মেরে চাবি লুকিয়ে রাখতাম। যেন তিনি বের হতে না পারেন। বাবাকে বলতাম, বাবা তুমি ছাড়া তো আমাদের আর কেউ নেই। তোমার কিছু হয়ে গেলে আমাদের কী হবে? কিন্তু ঐদিন কাউকে কিছু না বলে তিনি বের হয়ে যান। আমরাও ভাবতেছিলাম, আজকে যেহেতু বিজয় হয়েছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।’ শারমিন বলতে থাকেন, ‘কিন্তু ৫ তারিখ সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। বাবা বাসায় আসে না। পরের দিন আমরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করি, কিন্তু কোথাও তাঁর সন্ধান পাই না। এরপরে টানা পাঁচদিন খুঁজতে খুঁজতে যখন কোনভাবে কূল কিনারা করতে পারতেছিলাম না, তখন একটি লিফলেট ছাপাই। যে লিফলেটটি ১১ তারিখ জসীমউদ্দীন মোড় থেকে হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে আমরা দেই। তারপরে ওই লিফলেটটি পেয়ে সালেহ রায়হান ভাই সরাসরি ফোন করেন। আমরা ভাবতেই পারি নাই, বাবা আর নেই। তাই তিনি যখন বলেন যে, এই ছবির সাথে তাদের একজন শহিদের মিল আছে, আমরা প্রথমে বিশ্বাসই করিনি। পরে তিনি বাবার ছবি আমার হোয়াটস্অ্যাপে দেন। ছবি দেখেই তো মা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন তিনি বলেন, আত্মীয়-স্বজন না আসাতে আজকে সকালেই এই লাশটি আমরা ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি। গত ছয়দিন যাবত কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে পড়ে ছিল। শারমিন বলেন, ‘আমরা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যাই। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন মাকে ছাড়া বাবার লাশ আমাদেরকে দিবে না। তখন মাকে আনতে আমরা আবার উত্তরা যাই। তারপর মাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরে বাবার লাশ বুঝে পাই।’ দেশের বাড়ির ঠিকানাও হারিয়ে গেছে আকাশ বেপারির। তাই কবর হয়েছে বাউনিয়া, তুরাগেই। মানুষের বাড়িতে কাজ করে শহিদের স্ত্রীর মোট আয় ৮ হাজার টাকা। ঘরভাড়া ৭ হাজার। বাকি ১ হাজার দিয়ে তারা কিভাবে চলবেন? তাই বাকি খরচ যোগাতে ভিক্ষায় নামতে হয়েছে লাকিকে। একমাত্র জামায়াতে ইসলামী ২ লাখ টাকা দিলেও আকাশ বেপারির ঋণ ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার। এখন যে ঢাকা থেকে চলে যাবে সেই উপায়ও নেই। কারণ গ্রামের বাড়িতেও যাওয়ার অবস্থা নেই। গ্রামে কোন ঘরবাড়ি না করেই কবরে শুয়ে আছেন শহিদ আকাশ। এই শহিদ কিছুটা বাউল স্বভাবের ছিলেন। কিন্তু পাক্কা বিশ্বাসী ছিলেন যে ভাল কাজের প্রতিদান আল্লাহ পরকালে দেবেন। আকাশ বেপারি মরে গেছেন ঠিকই তবে মেরে যাননি চারটি মুখ। এটা কি তার অপরাধ? কাঁদতে কাঁদতে শহিদের বড় মেয়ে বলেন, ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারী অ্যালায়েন্সের সালেহ রায়হান ভাই যদি আমাদের পাশে না থাকতেন, তাহলে যে কী হতো! অর্থাভাবে আমাদের দুই বোনের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভাই আমাদের স্কুলের টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও যে কোন সমস্যায় একটা ফোন দিলেই ভাই ছুটে আসেন বা সমস্যার সমাধান করে দেন। অথচ তিনি নিজেও একজন ছাত্র। বিভিন্নজনের কাছে বলে কয়ে আমাদের পরিবারটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছেন।’ উল্লেখ্য, জুলাই আন্দোলন নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারী অ্যালায়েন্স’। জুলাই আন্দোলনের সামনের সারির যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত এ সংগঠন। এর আহ্বায়ক ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সালেহ মাহমুদ রায়হান।
Cause
পুলিশের গুলিতে নিহত।
English
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
Md. Akash, known for his selflessness during the student movement, helped injured protesters and fought against fear, risking his life to assist those in need. He was deeply loved by his family, especially by his daughters, who he cared for dearly. Akash was a devout man, and though he faced adversity, he remained committed to his belief in the afterlife. His sudden death has left his family in dire financial trouble, with his wife now resorting to begging to make ends meet. His family recalls his immense love for his children and his unwavering commitment to his work and community.
Cause
Killed by police gunfire during the student movement
Submit Edit Request