JSONify
New
Profile
Logout
Form
JSON
Verified:
Show:
Age
Date of Birth
13/01/2003
Date
05/08/2024
Gender
Image URL
Sources
Drag to reorder
Delete
Clear Data
Fill the fields
Bengali
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শহীদ শিক্ষার্থী সুমন ইসলামের (২০) লাশ মৃত্যুর তিন দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে খুঁজে পান তার পরিবারের সদস্যরা। চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্ত্থুানের দিন বিকেলে সুমন ইসলামের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেলেও আহত সুমনকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে সুমন ইসলামের পরিবার। সাভারের বিভিন্ন স্থানে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন তারা। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল। কোথাও খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হন সুমন ইসলামের পরিবার। পরে চাচাত ভাই সোহাগের পরামর্শে ৭ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মর্গে শহীদ সুমনের মৃতদেহ দেখতে পান। শহীদ সুমন ইসলামের বাবা হামিদ ইসলাম (৬০) এবং মা কাজলী বেগম (৫০)। গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা থানাধীন বকশিগঞ্জ আলমনগর গ্রামে। দাদার নাম মৃত খালেক মন্ডল এবং দাদি মৃত জয়তুন্নেছা। নানির নাম আয়শা খাতুন (৭৫) এবং নানা মৃত মসলিম উদ্দিন। কল্পনা, হাজেরা, মলিদা ও মনিরা- এই ৪ বোনের একমাত্র ভাই সুমন ইসলাম ছিল পরিবারের সবার আদরের। সুমন ইসলাম পড়াশোনায়ও ছিল অত্যন্ত ভালো। উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় এইচএসসি পাসের পর সম্প্রতি সাভারে আশুলিয়ার বাইপাইল পলাশবাড়ী এলাকায় দুলাভাই আতারুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন। শহীদ সুমন ইসলামের বাবা বৃদ্ধ হামিদ ইসলাম মুঠোফোনে বাসসকে জানান, আমার ছেলেটা অনেক সাংসারিক ছিল। সবসময় পরিবারের কথা চিন্তা করত। পড়াশোনার পাশাপাাশি পোশাক কারখানায় কাজ করত। অনেক স্বপ্ন ছিল ওর। আমাদের বাড়ি পাকা করে দেবে। ওর মায়ের চিকিৎসা করাবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে আমাদেরও অনেক স্বপ্ন ছিল। বুড়ো বয়সে আমাদের দেখভালের দায়িত্ব নেবে। ওর মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি কথা বলার। সরকারের কাছে বুড়ো বয়সে তাদের স্বামী-স্ত্রীর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার পাশাপাশি ছেলে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। শহীদ সুমন ইসলামের মা কাজলী বেগম মুঠোফোনে বাসসকে বলেন, আমার ছেলের মতোন ছেলে হয় না। সব কিছুর প্রতি ওর খেয়াল ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি ইপিজেডে কাজ করে আমাদের খরচ দিতো। পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকুরি করে বাড়ি ঠিক করার কথা ছিল সুমনের। আমার কোমরের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে। এর চিকিৎসার কথাও বলেছিল সুমন। কিন্তু ওর মৃত্যুতে আমাদের সব স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। একমাত্র বুকের ধন ছেলেকে হারিয়ে আমরা পাগলপ্রায়। নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমদের ছেলেকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। শহীদ সুমন ইসলামের বোন মনিরা মুঠোফোনে বাসসকে বলেন, আমার ভাইয়ের মতো ভাই লাখে একটা। আমাদের ৪ বোনের একমাত্র ভাই ছিল সুমন। সবাই ওকে অনেক আদর করতাম। গত বছর আমাদের বড় বোন কল্পনা মারা গেছে। বাবা-মা’র একমাত্র ছেলে ছিল সুমন। ওকে ঘিরেই তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল। ভেবেছিলাম পড়াশোনা শেষ করে বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেবে। সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। ঘাতকরা আমার ভাইটিকে বাঁচতে দিলো না। গুলি করে হত্যা করে ওকে। শহীদ সুমন ইসলামের দুলাভাই আতারুল ইসলাম বাসসকে জানান, অত্যন্ত মেধাবী সুমন ইসলাম ছিল আমাদের সবার আদরের। এইচএসসি পাশ করে অনার্সে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সুমন। আমার আশুলিয়ার বাড়িতেই থাকতো ও। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল সুমন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয় সে। ৪ আগস্ট রাবার বুলেট খেয়ে বাসায় চলে আসে। পরদিন ৫ আগস্ট ফের সুমন বাসা থেকে বের হয় আন্দোলনে যাওয়ার জন্য। বিকেলে দিকে আমরা খবর পাই সুমন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। র্এপর থেকেই পরিবারের আমরা সবাই বিভিন্নস্থানে সুমনকে খুঁজতে থাকি। কোথাও কোন হদিস পাই না সুমনের। এমন অবস্থায় আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। আশুলিয়া ও সাভারের প্রায় প্রতিটি হাসপাতাল তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াই সুমনকে। কোথাও ওকে খুঁজে না পেয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। ৭ আগস্ট দুপুরের পরে সুমনের চাচাতো ভাই সোহাগ আমাদের খবর দেয় আজ সাভার থেকে ৩ জনের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছে। তোমরা খোঁজ নাও। আমাদের পক্ষ থেকে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সোহাগই প্রথম সুমন ইসলামের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শনাক্ত করে। পরে আমাদের খবর দিলে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুমনের লাশ নিয়ে আসি। ৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা থানাধীন বকশিগঞ্জ আমিননগর গ্রামে শহীদ সুমন ইসলামের লাশ দাফন করা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করে সংসারের খরচ চালাতেন। স্বপ্ন ছিল চাকরি করে বোনদের নিয়ে সুখের জীবন যাপন করবেন। বৃদ্ধ বাবা মাকে আর কষ্টে দুঃখে জীবনযাপন করতে দিবেন না। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই তিনি ঝরে গেলেন।
Cause
মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।
English
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
The family members of martyred student Sumon Islam, 20, found his body at the morgue of Dhaka Medical College Hospital three days after his death. Sumon was shot during the mass uprising on August 5. His family was searching for him in different hospitals and places, but in vain. Sumon Islam's father, Hamid Islam, 60, and his mother, Kazali Begum, 50, are from Alамnagar village in Bokshiganj, Panchagarh. Sumon was the only brother of four sisters - Kolpona, Haera, Molida, and Monira. He was a very good student and was working in a garment factory to support his family. Sumon's father said that his son was very caring and always thought about the family. He had dreams of building a better life for his family and was working hard to achieve them. But now, his son is no more, and the family is devastated. Sumon's mother, Kazali Begum, said that her son was very responsible and was taking care of the family's expenses. He was also planning to get his mother treated for her spinal problem. But now, all their dreams are shattered. Sumon's sister, Monira, said that her brother was very loving and caring. He was the only brother of four sisters, and they all loved him very much. He was very active in the anti-discrimination movement and participated in various programs. Sumon's uncle, Atarul Islam, said that Sumon was a very meritorious student and was preparing for his honors exams. He was living with him in Ashulia, Savar. Sumon was very active in the movement from the beginning and participated in various programs. On August 4, Sumon was hit by a rubber bullet and returned home. The next day, he went out again to participate in the movement and was shot. The family was searching for him everywhere, but in vain. On August 7, Sumon's body was found at the morgue of Dhaka Medical College Hospital. His family took his body and buried him in their home village in Panchagarh. Sumon had dreams of building a better life for his family, but unfortunately, he did not get the chance to fulfill them.
Cause
Brought dead.
Submit Edit Request