JSONify
New
Profile
Logout
Form
JSON
Verified:
Show:
Age
Date of Birth
Pick a date
Date
05/08/2024
Gender
Image URL
Sources
Clear Data
Fill the fields
Bengali
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
‘আম্মা আমরা জিতছি, আজকে মিছিল কইরা কালকে বাড়ি আমু। তুমি চিন্তা কইরো না, আমার জন্য দোয়া কইরো।’ গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে মা মমতাজ বেগমের সাথে বিজয়ের আনন্দ ভাগ করতে গিয়ে তোফাজ্জল হোসেন খান এমন কথা বলেছিলেন। মায়ের সঙ্গে এটাই ছিল নির্মাণ শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেনের শেষ কথা। আর বাড়ি ফেরা হয়নি তোফাজ্জলের। সেদিন বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরে বিজয় মিছিল করতে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন তিনি। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে তোফাজ্জলের মা মমতাজ বেগমের সঙ্গে বাসস প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি এমন কথা জানান। রাজধানীর মিরপুর-২ এর স্টেডিয়াম এলাকার একটি চায়ের দোকানে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস’র প্রতিবেদকের সাথে আলাপ হয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহিদ তোফাজ্জল হোসেন খানের বড় ভাই মোফাজ্জল হোসেন খানের। তবে তোফাজ্জলের মা ও স্ত্রী ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ার ভালুকজান গ্রামে অবস্থান করায় তাদের সাথে এই প্রতিবেদকের মোবাইল ফোনে কথা হয়। তোফাজ্জল হোসেন খানের মা বলেন, ‘আপনারা আমার ছেলেরে আইন্না দেন। ও আমারে ফোনে কইছে আম্মা আমরা জিতছি, আজকে মিছিল কইরা কালকে বাড়ি আমু। তুমি চিন্তা কইরো না, আমার জন্য দোয়া কইরো। কিন্তু আমার ছেলেডা বাড়ি ফিরলো লাশ হইয়া।’ মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘সেদিন বেলা দুইটার দিকে ফোন করলেও কথা বলতে পারিনি। বলেছিল, সন্ধ্যায় ফোন করবে। ছেলে ফোন না করায় আমি কয়েকবার চেষ্টা করে ওর ফোন বন্ধ পাই। তখন ওর সহকর্মী ও মালিককে ফোন করি। কিন্তু কেউ বলতে পারছিল না। পরের দিন তোফাজ্জলকে পাওয়া গেছে। তখনই আমি বুঝে যাই, আমার বাজানকে মেরে ফেলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার বাবা তো আর আমার সঙ্গে কথা বলতে পারল না। আমার ছেলেরে যারা মারছে, তাদের বিচার চাই।’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ভারতে। এ খবর শোনার পর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে লাখ লাখ ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ উল্লাস শুরু করে। লাখো মানুষের সাথে বিজয় উল্লাস করতে বের হন তোফাজ্জল হোসেন খান। তোফাজ্জলের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ভালুকজান গ্রামে। বাবা নেকবর আলী খান মারা গেছেন এক বছর আগে। মা মমতাজ বেগম (৫৫)। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তোফাজ্জল ছিলেন তৃতীয়। সংসারের কষ্ট দূর করতে দুই বছর আগে মা, স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়িতে রেখে তোফাজ্জল (২৯) ও তাঁর ভাই মোফাজ্জল হোসেন খান (৩৮) পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। ভবন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে দুই ভাই কাজ শুরু করেন। ভালোই চলছিল সংসার। এক বোনকে বিয়ে দিলেও আরেক বোনের বিয়ে দেওয়া বাকি। তোফাজ্জলের স্ত্রীর নাম হামিদা খাতুন (২৩)। তাঁর তাছফিয়া আক্তার নামে ১৬ মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে। তোফাজ্জলের স্ত্রী হামিদা খাতুন বলেন, ‘৪ আগস্ট রাতেও রাবার বুলেট খেয়ে আসার পর তোফাজ্জলের সাথে আমার কথা হয়েছিল। তখন বলেছিল, ‘আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার সন্তানকে দেখে রাখবা না?’ ৫ আগস্ট বেলা তিনটার দিকে সর্বশেষ আমার সঙ্গে কথা হয়। বলেছিল, স্টেডিয়ামের মধ্যে আছে। আমি তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলি। চলে যাবে বলেছিল। রাতে কথা বলবে কথা দিয়েছিল। কিন্তু আর কথা বলতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘স্বামী আমাদের অথই সাগরে ফেলে চলে গেছে। মেয়ে তার বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। ব্যানারে থাকা ছবি দেখে বাবাকে ধরতে চেষ্টা করে। বাবাকে ডাকে। সে (তোফাজ্জল) সব সময় আমার কথা শুনলেও সেদিন আমার কথা না শুনে আন্দোলনে যায়। বাবার খুব আদরের মেয়ে ছিল তাছফিয়া। বাবা কী জিনিস, বোঝার আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।’ জানা গেছে, ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তোফাজ্জলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর সহকর্মী ও স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মিরপুর এলাকার বেসরকারি আজমল হাসপাতালে গিয়ে তোফাজ্জলের ছবি দেখালে হাসপাতালের লোকজন তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গিয়ে তোফাজ্জলের লাশ পাওয়া যায়। স্বজনেরা জানতে পারেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তোফাজ্জলকে ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান। অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৫ আগস্ট রাতে লাশ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। মরদেহের বুকে লাগানো টোকেন থেকে তাঁরা সময়টি জানতে পারেন। ৬ আগস্ট বিকেলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। মোফাজ্জল রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিলেন তোফাজ্জল। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার আগের দিন শরীরের বিভিন্ন অংশে সাতটি রাবার বুলেট লেগেছিল। পরদিন আবার মিছিল করতে গেলে পেছন দিক থেকে গুলি লাগে। মাথার পেছনে দুটি গুলি লেগে একটি বেরিয়ে গেলেও অন্যটি আটকে ছিল। তিনি বলেন, গুলি লাগার পরপরই আমার ভাই মারা গেছিল বলে শুনেছি। ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় লাশ পাই। তোফাজ্জলের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ কিছুই পাওয়া যায়নি। মোফাজ্জল জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে পাঁচ লাখ টাকার চেক ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
Cause
মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি শহিদ হন।
English
Name
Info
Birth Place
Profession
Bio
‘Mom, we are winning. I will join the procession today and return home tomorrow. Don’t worry about me, pray for me.’ These were the last words of Tofazzal Hossain Khan as he joined a victory procession on August 5, 2024, to share the joy of victory with his mother, Momtaz Begum. He did not return home that day. In the afternoon, while participating in a victory procession in Mirpur-2, Dhaka, he was shot in the head and martyred. His mother, Momtaz Begum, shared these words with a reporter from the national news agency, BSS. The conversation also involved his brother, Mofazzal Hossain Khan, who was a prominent figure in the anti-discrimination movement. Tofazzal was from the village of Bhulukjan in the Fulbaria Upazila of Mymensingh. His father, Nekbor Ali Khan, passed away a year earlier. Tofazzal was the third of six siblings. In an effort to improve his family's financial situation, Tofazzal and his brother Mofazzal moved to Dhaka two years ago, leaving behind their mother, wife, and children. They worked as construction laborers, and life was improving. One of Tofazzal’s sisters had been married off, but another’s marriage remained pending. Tofazzal's wife, Hamida Khatun, is 23 years old, and they have a 16-month-old daughter, Tashfia Akter. Hamida shared her final conversation with her husband, stating that he had been hit by rubber bullets on August 4, and they spoke again on the morning of August 5. Tofazzal assured her he would return safely, but tragically, he did not. That evening, Tofazzal’s phone went silent, and his family began searching for him. After visiting hospitals in the area and showing his picture, they identified him at Dhaka Medical College's morgue. Mofazzal Hossain Khan, Tofazzal's brother, described how Tofazzal had been involved in the movement since its beginning, and he had been injured by rubber bullets on August 4. The next day, while participating in the procession again, he was shot from behind, and the bullet struck his head, killing him. Mofazzal also mentioned that he received financial aid from the July Foundation and Jamaat-e-Islami, but he would rather have his brother back.
Cause
He was martyred after being shot in the back of the head.
Submit Edit Request